বিজিত অঞ্চলে সুশাসন বজায় রাখার যে নীতি লর্ড হেস্টিংস গ্রহণ করেছিলেন, তারই অঙ্গ স্বরূপ শুরু হয় পিন্ডারী দস্যু দের আগ্রাসন দমনের প্রস্তুতি। তারা খুব স্বল্প সময়ে গ্রামের পর গ্রাম লুঠ করে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করত। অনেক ব্রিটিশ ঐতিহাসিক পিন্ডারী দস্যুদের প্রতি মারাঠা নেতাদের প্রকাশ্য ও প্রচ্ছন্ন সমর্থনের কথা উল্লেখ করেছেন এবং তাঁদের লুন্ঠিত সামগ্রীর ভাগীদার বলেও প্রতিপন্ন করেছেন। পিন্ডারী দস্যুরা ছিল বিশেষ ভাবে সংগঠিত। লর্ড হেস্টিংসের সময় পিন্ডারী দস্যুদের প্রধান নেতা ছিলেন চিত্তু, ওয়াশীল মহম্মদ ও করিম খাঁ। তাদের দমনের জন্য হেস্টিংস লক্ষাধিক সেনা ও তিনশো কামানের বন্দোবস্ত করেন। তিনি সিন্ধিয়া, হোলকার ও ভূপালের নবাবকে পিন্ডারী দমনে সহায়তা করার দাবি জানান। তাঁরা যাতে পিন্ডারী দের সমর্থন করতে না পারেন এজন্য তাঁদের রাজ্যের ইংরেজ রেসিডেন্ট ও বশ্যতা মূলক বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। লর্ড হেস্টিংস স্বয়ং, ও সঙ্গে সেনাপতি অক্টারলোনি ও হিসলাপ পিন্ডারী দস্যুদের চর্তুদিক থেকে ঘিরে ফেলে একেবারে ধ্বংস করে দেন। ওয়াশীল মহম্মদ সিন্ধিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করলে তিনি তাকে ইংরেজ দের হাতে তুলে দেন। চিত্তু দূরদেশে পলায়ন কালে বাঘের আক্রমণে মারা পড়ে। মধ্য ভারত ও দাক্ষিণাত্যে আবার শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসে । পিন্ডারী দমনে হেস্টিংস তথা ব্রিটিশ শাসনের সদর্থক ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবে পিন্ডারীদের মারাঠা নেতারা যে সমর্থন করতেন সেই ইস্যুুুুকেে কেন্দ্র করে মারাঠা শক্তিকে এক্কেবারে সমূলে ধ্বংস করার সংকল্পও হেস্টিংস করে ফেলেন । পরবর্তী অংশে আমরা তা আলোচনা করব।
Very informative.